পঁয়ত্রিশ

   অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া আমার প্রাণ

           আকস্মিক চেতনার নিবিড়তায়

                  চঞ্চল হয়ে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে,

          তখন কোন্‌ কথা জানাতে তার এত অধৈর্য।

                    — যে কথা দেহের অতীত?

 

           খাঁচার পাখির কণ্ঠে যে বাণী

                   সে তো কেবল খাঁচারি নয়,

তার মধ্যে গোপনে আছে সুদূর অগোচরের অরণ্য - মর্মর,

                  আছে করুণ বিস্মৃতি ।

 

   সামনে তাকিয়ে চোখের দেখা দেখি—

            এ তো কেবলি দেখার জাল - বোনা নয়।

       বসুন্ধরা তাকিয়ে থাকেন নির্নিমেষে

                   দেশ - পারানো কোন্‌ দেশের দিকে,

  দিগ্‌‌বলয়ের ইঙ্গিতলীন

           কোন্‌ কল্পলোকের অদৃশ্য সংকেতে।

 

  দীর্ঘপথ ভালোমন্দয় বিকীর্ণ,

         রাত্রিদিনের যাত্রা দুঃখসুখের বন্ধুর পথে।

                শুধু কেবল পথ চলাতেই কি এ পথের লক্ষ্য?

        ভিড়ের কলরব পেরিয়ে আসছে গানের আহ্বান,

                  তার সত্য মিলবে কোন্‌খানে?

 

    মাটির তলায় সুপ্ত আছে বীজ।

           তাকে স্পর্শ করে চৈত্রের তাপ,

    মাঘের হিম, শ্রাবণের বৃষ্টিধারা ।

অন্ধকারে সে দেখছে অভাবিতের স্বপ্ন।

                 স্বপ্নেই কি তার শেষ?

    উষার আলোয় তার ফুলের প্রকাশ ;

   আজ নেই, তাই বলে কি নেই কোনোদিনই?