শেষ সপ্তক

                 সূর্যবন্দনার প্রদক্ষিণপথে

                      তুমি পৃথিবীর সহযাত্রী,

                 রবিরশ্মিগ্রথিত দিনরত্নের মালা

                          দুলছে তোমার কণ্ঠে।

 

     যে মহাযুগের বিপুল ক্ষেত্রে

         তোমার নিগূঢ় জগদ‌্‌ব্যাপার

     সেখানে তুমি স্বতন্ত্র , সেখানে সুদূর,

     সেখানে লক্ষকোটিবৎসর

           আপনার জনহীন রহস্যে তুমি অবগুণ্ঠিত।

                        আজ আসন্ন রজনীর প্রান্তে

                               কবিচিত্তে যখন জাগিয়ে তুলেছ

                                      নিঃশব্দ শান্তিবাণী।

 

                          সেই মুহূর্তেই

                  আমাদের অজ্ঞাত ঋতুপর্যায়ের আবর্তন

                  তোমার জলে স্থলে বাষ্পমণ্ডলীতে

                         রচনা করছে সৃষ্টিবৈচিত্র্য।

                        তোমার সেই একেশ্বর যজ্ঞে

                            আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই,

                            আমাদের প্রবেশদ্বার রুদ্ধ।

 

     হে পণ্ডিতের গ্রহ,

         তুমি জ্যোতিষের সত্য

              সে কথা মানবই,

         সে সত্যের প্রমাণ আছে গণিতে।

                     কিন্তু এও সত্য, তার চেয়েও সত্য

                          যেখানে তুমি আমাদেরই

                  আপন শুকতারা, সন্ধ্যাতারা,

                  যেখানে তুমি ছোটো, তুমি সুন্দর,

                  যেখানে আমাদের হেমন্তের শিশিরবিন্দুর সঙ্গে তোমার তুলনা,

                       যেখানে শরতের শিউলি ফুলের উপমা তুমি,