শেষ সপ্তক

যেমন আমার ছবি আঁকা, চিঠি লেখাও তেমনি।

ঘটনার ডাকপিওনগিরি করে না সে।

নিজেরই সংবাদ সে নিজে।

 

                  জগতে রূপের আনাগোনা চলছে,

                  সেই সঙ্গে আমার ছবিও এক-একটি রূপ,

                 অজানা থেকে বেরিয়ে আসছে জানার দ্বারে।

                 সে প্রতিরূপ নয়।

                 মনের মধ্যে ভাঙাগড়া কত, কতই জোড়াতাড়া ;

                 কিছু বা তার ঘনিয়ে ওঠে ভাবে,

                  কিছু বা তার ফুটে ওঠে চিত্রে ;

                  এতদিন এই সব আকাশবিহারীদের ধরেছি কথার ফাঁদে।

 

মন তখন বাতাসে ছিল কান পেতে,

যে ভাব ধ্বনি খোঁজে তারি খোঁজে।

আজকাল আছে সে চোখ মেলে।

রেখার বিশ্বে খোলা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে, দেখবে ব ' লে।

সে তাকায়, আর বলে, ‘ দেখলেম।'

                   সংসারটা আকারের মহাযাত্রা।

                   কোন্‌ চির-জাগরূকের সামনে দিয়ে চলেছে,

                    তিনিও নীরবে বলছেন, ‘ দেখলেম।'

আদি যুগে রঙ্গমঞ্চের সম্মুখে সংকেত এল,

 ‘ খোলো আবরণ।'

বাষ্পের যবনিকা গেল উঠে,

রূপের নটীরা এল বাহির হয়ে ;

ইন্দ্রের সহস্র চক্ষু, তিনি দেখলেন।

তাঁর দেখা আর তাঁর সৃষ্টি একই।

চিত্রকর তিনি।

তাঁর দেখার মহোৎসব দেশে দেশে কালে কালে।