বারো

                কেউ চেনা নয়,

                সব মানুষই অজানা।

           চলেছে আপনার রহস্যে

                            আপনি একাকী।

                           সেখানে তার দোসর নেই।

সংসারের ছাপমারা কাঠামোয়

           মানুষের সীমা দিই বানিয়ে।

সংজ্ঞার বেড়া-দেওয়া বসতির মধ্যে

         বাঁধা মাইনের কাজ করে সে।

         থাকে সাধারণের চিহ্ন নিয়ে ললাটে।

 

এমন সময় কোথা থেকে

ভালোবাসার বসন্ত-হাওয়া লাগে,

            সীমার আড়ালটা যায় উড়ে,

            বেরিয়ে পড়ে চির-অচেনা।

সামনে তাকে দেখি স্বয়ংস্বতন্ত্র, অপূর্ব, অসাধারণ,

            তার জুড়ি কেউ নেই।

    তার সঙ্গে যোগ দেবার বেলায়

              বাঁধতে হয় গানের সেতু,

  ফুলের ভাষায় করি তার অভ্যর্থনা।

 

                   চোখ বলে,

যা দেখলুম, তুমি আছ তাকে পেরিয়ে।

মন বলে

     চোখে-দেখা কানে-শোনার ওপারে যে রহস্য

                    তুমি এসেছ সেই অগমের দূত,

            রাত্রি যেমন আসে

     পৃথিবীর সামনে নক্ষত্রলোক অবারিত ক ' রে।

          তখন হঠাৎ দেখি আমার মধ্যেকার অচেনাকে,

               তখন আপন অনুভবের

                  তল খুঁজে পাই নে,

             সেই অনুভব

                  “ তিলে তিলে নূতন হোয়। ”