শেষ সপ্তক

             সে তো প্রেতের অন্ন ;

ভোগশক্তিহীন নিরর্থকের কাছে উৎসর্গ-করা।

  তার পিছনে ছুটে

     সদ্য - বর্তমানের অন্নপূর্ণার

  পরিবেশন এড়িয়ে যেয়ো না, মোহান্ধ।

 

আজ আমার দ্বারের কাছে

         শজনে গাছের পাতা গেল ঝ ' রে,

         ডালে ডালে দেখা দিয়েছে

             কচি পাতার রোমাঞ্চ ;

এখন প্রৌঢ় বসন্তের পারের খেয়া

        চৈত্রমাসের মধ্যস্রোতে ;

        মধ্যাহ্নের তপ্ত হাওয়ায়

             গাছে গাছে দোলাদুলি ;

      উড়তি ধুলোয় আকাশের নীলিমাতে

             ধূসরের আভাস,

     নানা পাখির কলকাকলিতে

বাতাসে আঁকছে শব্দের অস্ফুট আলপনা।

 

এই নিত্যবহমান অনিত্যের স্রোতে

      আত্মবিস্মৃত চলতি প্রাণের হিল্লোল ;

তার কাঁপনে আমার মন ঝলমল করছে

      কৃষ্ণচূড়ার পাতার মতো।

      অঞ্জলি ভরে এই তো পাচ্ছি

         সদ্য মুহূর্তের দান,

      এর সত্যে নেই কোনো সংশয়, কোনো বিরোধ।

      যখন কোনোদিন গান করেছি রচনা,

    সেও তো আপন অন্তরে

       এইরকম পাতার হিল্লোল,

        হাওয়ার চাঞ্চল্য,

      রৌদ্রের ঝলক,

        প্রকাশের হর্ষবেদনা।