ছয়

দিনের প্রান্তে এসেছি

           গোধূলির ঘাটে।

   পথে পথে পাত্র ভরেছি

             অনেক কিছু দিয়ে।

ভেবেছিলেম চিরপথের পাথেয় সেগুলি ;

    দাম দিয়েছি কঠিন দুঃখে।

অনেক করেছি সংগ্রহ মানুষের কথার হাটে,

  কিছু করেছি সঞ্চয় প্রেমের সদাব্রতে।

  শেষে ভুলেছি সার্থকতার কথা,

  অকারণে কুড়িয়ে বেড়ানোই হয়েছে অন্ধ অভ্যাসে বাঁধা ;

       ফুটো ঝুলিটার শূন্য ভরাবার জন্যে

           বিশ্রাম ছিল না।

 

   আজ সামনে যখন দেখি

     ফুরিয়ে এল পথ,

পাথেয়ের অর্থ আর রইল না কিছুই।

   যে প্রদীপ জ্বলেছিল মিলন-শয্যার পাশে

         সেই প্রদীপ এনেছিলেম হাতে ক ' রে।

তার শিখা নিবল আজ,

  সেটা ভাসিয়ে দিতে হবে স্রোতে।

সামনের আকাশে জ্বলবে একলা সন্ধ্যার তারা।

যে বাঁশি বাজিয়েছি

  ভোরের আলোয়, নিশীথের অন্ধকারে,

তার শেষ সুরটি বেজে থামবে

   রাতের শেষ প্রহরে।

 

 

তার পরে

     যে জীবনে আলো নিবল

          সুর থামল,