পত্রপুট

                   সংকীর্ণতার ঔদ্ধত্য থেকে।

       হে মহান্‌ পুরুষ, ধন্য আমি, দেখেছি তোমাকে

                 তামসের পরপার হতে

              আমি ব্রাত্য, আমি জাতিহারা।

 

একদিন বসন্তে নারী এল সঙ্গীহারা আমার বনে

              প্রিয়ার মধুর রূপে।

     এল সুর দিতে আমার গানে ,

           নাচ দিতে আমার ছন্দে,

                  সুধা দিতে আমার স্বপ্নে।

     উদ্দাম একটা ঢেউ হৃদয়ের তট ছাপিয়ে

                   হঠাৎ হল উচ্ছলিত,

                         ডুবিয়ে দিল সকল ভাষা,

                         নাম এল না মুখে।

               সে দাঁড়ালো গাছের তলায়,

     ফিরে তাকালো আমার কুণ্ঠিত বেদনাকরুণ

                  মুখের দিকে।

     ত্বরিত পদে এসে বসল আমার পাশে।

দুই হাতের মধ্যে আমার হাত তুলে নিয়ে বললে,

“ তুমি চেন না আমাকে, তোমাকে চিনি নে আমি,

    আজ পর্যন্ত কেমন করে এটা হল সম্ভব

              আমি তাই ভাবি॥ ”

     আমি বললেম, “ দুই না-চেনার মাঝখানে

                  চিরকাল ধরে আমরা দুজনে বাঁধব সেতু,

                        এই কৌতূহল সমস্ত বিশ্বের অন্তরে। ”

 

ভালোবেসেছি তাকে।

      সেই ভালোবাসার একটা ধারা

         ঘিরেছে তাকে স্নিগ্ধ বেষ্টনে

                     গ্রামের চিরপরিচিত অগভীর নদীটুকুর মতো।

         অল্পবেগের সেই প্রবাহ

                     বহে চলেছে প্রিয়ার সামান্য প্রতিদিনের