পাঁচ

     সন্ধ্যা এল চুল এলিয়ে

                 অস্তসমুদ্রে সদ্য স্নান করে।

     মনে হল, স্বপ্নের ধূপ উঠছে

                      নক্ষত্রলোকের দিকে।

     মায়াবিষ্ট নিবিড় সেই স্তব্ধ ক্ষণে —

                  তার নাম করব না —

সবে সে চুল বেঁধেছে, পরেছে আসমানি রঙের শাড়ি,

                     খোলা ছাদে গান গাইছে একা।

               আমি দাঁড়িয়ে ছিলেম পিছনে

               ও হয়তো জানে না, কিম্বা হয়তো জানে।

 

ওর গানে বলছে সিন্ধু কাফির সুরে —

          চলে যাবি এই যদি তোর মনে থাকে

               ডাকব না ফিরে ডাকব না,

                         ডাকি নে তো সকালবেলার শুকতারাকে।

 

শুনতে শুনতে সরে গেল সংসারের ব্যবহারিক আচ্ছাদনটা,

       যেন কুঁড়ি থেকে পূর্ণ হয়ে ফুটে বেরোল

অগোচরের অপরূপ প্রকাশ ;

       তার লঘু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল আকাশে ;

                অপ্রাপণীয়ের সে দীর্ঘনিশ্বাস,

       দুরূহ দুরাশার সে অনুচ্চারিত ভাষা।

 

একদা মৃত্যুশোকের বেদমন্ত্র

        তুলে ধরেছে বিশ্বের আবরণ, বলছে —

             পৃথিবীর ধূলি মধুময়।

             সেই সুরে আমার মন বললে —

                   সংগীতময় ধরার ধূলি।

 

       আমার মন বললে —