কবিতা
       ধীরে ধীরে বায়ু আসি,
       দুলায়ে অলকরাশি,
কবরী-কুসুম-গন্ধ করিছে হরণ।

       বিজনে খুলিয়া প্রাণ,
       নিখাদে চড়ায়ে তান,
শোভনা প্রকৃতিদেবী গান ধীরে ধীরে।
       নলিন নয়নদ্বয়,
       প্রশান্ত বিষাদময়,
ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস বহিল গভীরে।

‘ অভাগী ভারত! হায়, জানিতাম যদি,
       বিধবা হইবি শেষে,
       তা হলে কি এত ক্লেশে,
তোর তরে অলংকার করি নিরমাণ?
তা হলে কি পূতধারা মন্দাকিনী নদী
তোর উপত্যকা - ' পরে হত বহমান?
       তা হলে কি হিমালয়,
       গর্বে ভরা হিমালয়
দাঁড়াইয়া তোর পাশে
       পৃথিবীরে উপহাসে,
তুষারমুকুট শিরে করি পরিধান।

       তা হলে কি শতদলে,
       তোর সরোবরজলে,
হাসিত অমন শোভা করিয়া বিকাশ?
       কাননে কুসুমরাশি,