কবিতা
২৭
       সেই এক অভিনব
       মধুর সৌন্দর্য তব,
আজিও অঙ্কিত তাহা রয়েছে মানসে।
আঁধার সাগরতলে
       একটি রতন জ্বলে
একটি নক্ষত্র শোভে মেঘান্ধ আকাশে।
       সুবিস্তৃত অন্ধকূপে,
       একটি প্রদীপ-রূপে
       জ্বলিতিস তুই আহা,
       নাহি পড়ে মনে?
 
কে নিভালে সেই ভাতি ভারতে আঁধার রাতি
হাতড়ি বেড়ায় আজি সেই হিন্দুগণে।
       সেই অমানিশা তোর,
       আর কি হবে না ভোর
কাঁদিবি কি চিরকাল ঘোর অন্ধকূপে।
       অনন্ত কালের মতো,
       সুখসূর্য অস্তগত,
ভাগ্য কি অনন্ত কাল রবে এই রূপে।
       তোর ভাগ্যচক্র শেষে,
       থামিল কি হেথা এসে,
বিধাতার নিয়মের করি ব্যভিচার
       আয় রে প্রলয় ঝড়,
       গিরিশৃঙ্গ চূর্ণ কর
ধূর্জটি! সংহার-শিঙ্গা বাজাও তোমার।
       প্রভঞ্জন ভীমবল,
       খুলে দেও বায়ুদল,
ছিন্ন ভিন্ন করে দিক ভারতের বেশ।
       ভারতসাগর রুষি,
       উগরো বালুকারাশি
মরুভূমি হয়ে যাক সমস্ত প্রদেশ।