সম্মিলন

সেথায় কপোত-বধূ লতার আড়ালে

দিবানিশি গাহে শুধু প্রেমের বিলাপ।

নবীন চাঁদের করে একটি হরিণী

আমাদের গৃহদ্বারে আরামে ঘুমায়।

তার শান্ত নিদ্রাকালে নিশ্বাস পতনে

প্রহর গণিতে পারি স্তব্ধ রজনীর।

সুখের আবাসে সেই কাটাব জীবন,

দুজনে উঠিব মোরা, দুজনে বসিব,

নীল আকাশের নীচে ভ্রমিব দুজনে,

বেড়াইব মাঠে মাঠে উঠিব পর্বতে

সুনীল আকাশ যেথা পড়েছে নামিয়া।

অথবা দাঁড়াব মোরা সমুদ্রের তটে,

উপলমণ্ডিত সেই স্নিগ্ধ উপকূল

তরঙ্গের চুম্বনেতে উচছ্বাসে মাতিয়া

থর থর কাঁপে আর জ্বল ' জ্বল ' জ্বলে!

যত সুখ আছে সেথা আমাদের হবে,

আমরা দুজনে সেথা হব দুজনের,

অবশেষে বিজন সে দ্বীপের মাঝারে

ভালোবাসা, বেঁচে থাকা, এক হ ' য়ে যাবে।

মধ্যাহ্নে যাইব মোরা পর্বতগুহায়,

সে প্রাচীন শৈল-গুহা স্নেহের আদরে

অবসান রজনীর মৃদু জোছনারে

রেখেছে পাষাণ কোলে ঘুম পাড়াইয়া।

প্রচ্ছন্ন আঁধারে সেথা ঘুম আসি ধীরে

হয়তো হরিবে তোর নয়নের আভা।

সে ঘুম অলস প্রেমে শিশিরের মতো।

সে ঘুম নিভায়ে রাখে চুম্বন-অনল

আবার নূতন করি জ্বালাবার তরে।

অথবা বিরলে সেথা কথা কব মোরা,

কহিতে কহিতে কথা, হৃদয়ের ভাব