অনূদিত কবিতা

এমন মধুর স্বরে গাহিয়া উঠিবে

আর আমাদের মুখে কথা ফুটিবে না।

মনের সে ভাবগুলি কথায় মরিয়া

আমাদের চোখে চোখে বাঁচিয়া উঠিবে!

চোখের সে কথাগুলি বাক্যহীন মনে

ঢালিবে অজস্র স্রোতে নীরব সংগীত,

মিলিবেক চৌদিকের নীরবতা সনে।

মিশিবেক আমাদের নিশ্বাসে নিশ্বাসে।

আমাদের দুই হৃদি নাচিতে থাকিবে,

শোণিত বহিবে বেগে দোঁহার শিরায়।

মোদের অধর দুটি কথা ভুলি গিয়া

ক ' বে শুধু উচছ্বসিত চুম্বনের ভাষা।

দুজনে দুজন আর রব না আমরা,

এক হয়ে যাব মোরা দুইটি শরীরে।

দুইটি শরীর? আহা তাও কেন হল?

যেমন দুইটি উল্কা জ্বলন্ত শরীর,

ক্রমশ দেহের শিখা করিয়া বিস্তার

স্পর্শ করে, মিশে যায়, এক দেহ ধরে,

চিরকাল জ্বলে তবু ভস্ম নাহি হয়,

দুজনেরে গ্রাস করি দোঁহে বেঁচে থাকে ;

মোদের যমক-হৃদে একই বাসনা,

দণ্ডে দণ্ডে পলে পলে বাড়িয়া বাড়িয়া,

তেমনি মিলিয়া যাবে অনন্ত মিলন।

এক আশা রবে শুধু দুইটি ইচছার

এই ইচছা রবে শুধু দুইটি হৃদয়ে,

একই জীবন আর একই মরণ,

একই স্বরগ আর একই নরক,

এক অমরতা কিংবা একই নির্বাণ,

হায় হায় এ কী হল এ কী হল মোর!

আমার হৃদয় চায় উধাও উড়িয়া

প্রেমের সুদূর রাজ্যে করিতে ভ্রমণ,

কিন্তু গুরুভার এই মরতের ভাষা