আরোগ্য

শাকের সন্ধানে ফেরে ঝুড়ি নিয়ে কাঁখে।

কভু বহু দূরে চলে নদীর রেখার পাশে পাশে

নতপৃষ্ঠ ক্লিষ্টগতি গুণটানা মাল্লা একসারি।

জলে স্থলে সজীবের আর চিহ্ন নাই সারাবেলা।

গোলকচাঁপার গাছ অনাদৃত কাছের বাগানে ;

তলায়-আসন-গাঁথা বৃদ্ধ মহানিম,

নিবিড় গম্ভীর তার আভিজাত্যচ্ছায়া।

রাত্রে সেথা বকের আশ্রয়।

ইঁদারায় টানা জল

নালা বেয়ে সারাদিন কুলুকুলু চলে

ভুট্টার ফসলে দিতে প্রাণ।

ভজিয়া জাঁতায় ভাঙে গম

পিতল-কাঁকন-পরা হাতে।

মধ্যাহ্ন আবিষ্ট করে একটানা সুর।

 

পথে-চলা এই দেখাশোনা

ছিল যাহা ক্ষণচর

চেতনার প্রত্যন্ত প্রদেশে,

চিত্তে আজ তাই জেগে ওঠে ;

এই-সব উপেক্ষিত ছবি

জীবনের সর্বশেষ বিচ্ছেদবেদনা

দূরের ঘণ্টার রবে এনে দেয় মনে।