ছড়ার ছবি
     দশটা কাহার কাঁধে নিল , আর পঁচিশটা কাহার
                 সঙ্গে চলল তাঁহার।
     ভাটিণ্ডাতে দাঁড় করিয়ে জোরালো দূরবীনে
     দখিনমুখে ভালো করে দেখে নিলেন চিনে
                 বিন্ধ্যাচলের পর্বত।
     সেইখানেতে খাইয়ে দিল কাঁচা আমের শর্বৎ।
     সেখান থেকে এক পহরে গেলেন জৌনপুরে
                    পড়ন্ত রোদ্‌দুরে।
 
                     এইখানেতেই শেষে
     যোগীনদাদা থেমে গেলেন যৌবরাজ্যে এসে।
            হেসে বললেন, “ কী আর বলব দাদা,
     মাঝের থেকে মটর-ভাজা খাওয়ায় পড়ল বাধা। ”
            “ ও হবে না, ও হবে না ” বিষম কলরবে
     ছেলেরা সব চেঁচিয়ে উঠ্‌ল, “ শেষ করতেই হবে। ”
                 যোগীনদা কয়, “ যাক গে,
            বেঁচে আছি শেষ হয়নি ভাগ্যে।
     তিনটে দিন না যেতে যেতেই হলেম গলদ্‌ঘর্ম।
     রাজপুত্র হওয়া কি, ভাই, যে-সে লোকের কর্ম।
     মোটা মোটা পরোটা আর তিন পোয়াটাক ঘি
     বাংলাদেশের-হাওয়ায়-মানুষ সইতে পারে কি।
     নাগরা জুতায় পা ছিঁড়ে যায়, পাগড়ি মুটের বোঝা,
                 এগুলি কি সহ্য করা সোজা।
     তা ছাড়া এই রাজপুত্রের হিন্দি শুনে কেহ
                 হিন্দি বলেই করলে না সন্দেহ।
       যেদিন দূরে শহরেতে চলছিল রামলীলা
              পাহারাটা ছিল সেদিন ঢিলা।
       সেই সুযোগে গৌড়বাসী তখনি এক দৌড়ে
                 ফিরে এল গৌড়ে।
              চলে   গেল সেই রাত্রেই ঢাকা —
       মাঝের থেকে চর পেয়ে যায় দশটি হাজার টাকা।
              কিন্তু, গুজব শুনতে পেলেম শেষে,