ছড়ার ছবি
চেয়ে রইতেম মুখের দিকে শান্তশিষ্ট হয়ে,
কাঁসর-ঘণ্টা উঠত বেজে গলির শিবালয়ে।
সেই সেকালের সন্ধ্যা মোদের সন্ধ্যা ছিল সত্যি,
দিন-ভ্যাঙানো ইলেকট্রিকের হয়নিকো উৎপত্তি।
ঘরের কোণে কোণে ছায়া, আঁধার বাড়ত ক্রমে,
মিট্‌মিটে এক তেলের আলোয় গল্প উঠত জমে।
শুরু হলে থামতে তাঁরে দিতেম না তো ক্ষণেক,
সতি মিথ্যে যা-খুশি তাই বানিয়ে যেতেন অনেক।
ভূগোল হত উলটো-পালটা, কাহিনী আজগুবি,
              মজা লাগত খুবই।
গল্পটুকু দিচ্ছি, কিন্তু দেবার শক্তি নাই তো
বলার ভাবে যে রঙটুকু মন আমাদের ছাইত।
 
হুশিয়ারপুর পেরিয়ে গেল ছন্দৌসির গাড়ি,
দেড়টা রাতে সরহরোয়ায় দিল স্টেশন ছাড়ি।
     ভোর থাকতেই হয়ে গেল পার
বুলন্দশর আম্লোরিসর্সার।
     পেরিয়ে যখন ফিরোজাবাদ এল
         যোগীনদাদার বিষম খিদে পেল।
ঠোঙায়-ভরা পকৌড়ি আর চলছে মটরভাজা
এমন সময় হাজির এসে জৌনপুরের রাজা।
পাঁচশো-সাতশো লোকলস্কর, বিশপঁচিশটা হাতি
মাথার উপর ঝালর-দেওয়া প্রকাণ্ড এক হাতি।
মন্ত্রী এসেই দাদার মাথায় চড়িয়ে দিল তাজ,
               বললে, ‘ যুবরাজ,
  আর কতদিন রইবে প্রভু, মোতিমহল ত্যেজে। '
  বলতে বলতে রামশিঙা আর ঝাঁঝর উঠল বেজে।
 
              ব্যাপারখানা এই —
  রাজপুত্র তেরো বছর রাজভবনে নেই।
                 সদ্য ক'রে বিয়ে,
  নাথদোয়ারার সেগুনবনে শিকার করতে গিয়ে