পুনশ্চ

            কী করে জিতিয়ে দেবে।

    উচ্চ তোমার মন, তোমার লেখনী মহীয়সী।

        তুমি হয়তো ওকে নিয়ে যাবে ত্যাগের পথে,

            দুঃখের চরমে, শকুন্তলার মতো।

               দয়া কোরো আমাকে।

           নেমে এসো আমার সমতলে।

        বিছানায় শুয়ে শুয়ে রাত্রির অন্ধকারে

দেবতার কাছে যে অসম্ভব বর মাগি —

            সে বর আমি পাব না,

কিন্তু পায় যেন তোমার নায়িকা।

    রাখো-না কেন নরেশকে সাত বছর লণ্ডনে,

        বারে বারে ফেল করুক তার পরীক্ষায়,

           আদরে থাক্‌ আপন উপাসিকামণ্ডলীতে।

        ইতিমধ্যে মালতী পাস করুক এম . এ .

               কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে,

        গণিতে হোক প্রথম তোমার কলমের এক আঁচড়ে।

           কিন্তু ওইখানেই যদি থাম

তোমার সাহিত্যসম্রাট নামে পড়বে কলঙ্ক।

    আমার দশা যাই হোক

        খাটো কোরো না তোমার কল্পনা।

    তুমি তো কৃপণ নও বিধাতার মতো।

মেয়েটাকে দাও পাঠিয়ে য়ুরোপে।

    সেখানে যারা জ্ঞানী, যারা বিদ্বান, যারা বীর,

           যারা কবি, যারা শিল্পী, যারা রাজা,

            দল বেঁধে আসুক ওর চার দিকে।

জ্যোতির্বিদের মতো আবিষ্কার করুক ওকে —

           শুধু বিদুষী ব'লে নয়, নারী ব'লে।

ওর মধ্যে যে বিশ্ববিজয়ী জাদু আছে

    ধরা পড়ুক তার রহস্য, মূঢ়ের দেশে নয় —

        যে দেশে আছে সমজদার, আছে দরদি,

               আছে ইংরেজ জর্মান ফরাসি।

মালতীর সম্মানের জন্য সভা ডাকা হোক-না,