পুনশ্চ

    ‘কথাগুলি যদি বানানো হয় দোষ কী,

           কিন্তু চমৎকার —

হীরে-বসানো সোনার ফুল কি সত্য, তবুও কি সত্য নয়। '

            বুঝতেই পারছ

একটা তুলনার সংকেত ওর চিঠিতে অদৃশ্য কাঁটার মতো

     আমার বুকের কাছে বিঁধিয়ে দিয়ে জানায় —

           আমি অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে।

    মূল্যবানকে পুরো মূল্য চুকিয়ে দিই

        এমন ধন নেই আমার হাতে।

    ওগো, নাহয় তাই হল,

        নাহয় ঋণীই রইলেম চিরজীবন।

 

 

পায়ে পড়ি তোমার, একটা গল্প লেখো তুমি শরৎবাবু,

        নিতান্তই সাধারণ মেয়ের গল্প —

যে দুর্ভাগিনীকে দূরের থেকে পাল্লা দিতে হয়

        অন্তত পাঁচ-সাতজন অসামান্যার সঙ্গে —

           অর্থাৎ, সপ্তরথিনীর মার।

বুঝে নিয়েছি আমার কপাল ভেঙেছে,

        হার হয়েছে আমার।

কিন্তু তুমি যার কথা লিখবে

        তাকে জিতিয়ে দিয়ো আমার হয়ে,

           পড়তে পড়তে বুক যেন ওঠে ফুলে।

    ফুলচন্দন পড়ুক তোমার কলমের মুখে।

     

 

  তাকে নাম দিয়ো মালতী।

           ওই নামটা আমার।

           ধরা পড়বার ভয় নেই।

    এমন অনেক মালতী আছে বাংলাদেশে,

           তারা সবাই সামান্য মেয়ে।

               তারা ফরাসি জর্মান জানে না,

                   কাঁদতে জানে।