পুনশ্চ

কমলা এসেছে মাকে নিয়ে।

         রোদ ওঠবার আগে

      হিমে-ছোঁওয়া স্নিগ্ধ হাওয়ায়

শাল-বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়াতে যায় ছাতি হাতে।

       মেঠো ফুলগুলো পায়ে এসে মাথা কোটে,

             কিন্তু সে কি চেয়ে দেখে।

         অল্পজল নদী পায়ে হেঁটে

                 পেরিয়ে যায় ও পারে,

         সেখানে সিসুগাছের তলায় বই পড়ে।

আর আমাকে সে যে চিনেছে

         তা জানলেম আমাকে লক্ষ্য করে না বলেই।

 

একদিন দেখি নদীর ধারে বালির উপর চড়িভাতি করছে এরা।

ইচ্ছে হল গিয়ে বলি, আমাকে দরকার কি নেই কিছুতেই।

         আমি পারি জল তুলে আনতে নদী থেকে —

      পারি বন থেকে কাঠ আনতে কেটে,

         আর, তা ছাড়া কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে

             একটা ভদ্রগোছের ভালুকও কি মেলে না।

 

দেখলেম দলের মধ্যে একজন যুবক —

      শর্ট‌্-পরা, গায়ে রেশমের বিলিতি জামা,

         কমলার পাশে পা ছড়িয়ে

             হাভানা চুরোট খাচ্ছে।

      আর, কমলা অন্যমনে টুকরো টুকরো করছে

             একটা শ্বেতজবার পাপড়ি,

                 পাশে পড়ে আছে

                      বিলিতি মাসিক পত্র।

 

মুহূর্তে বুঝলেম এই সাঁওতাল পরগনার নির্জন কোণে

      আমি অসহ্য অতিরিক্ত, ধরবে না কোথাও।

তখনি চলে যেতেম, কিন্তু বাকি আছে একটি কাজ।

      আর দিন-কয়েকেই ক্যামেলিয়া ফুটবে,