স্কুল-পালানে

        মাস্টারি-শাসনদুর্গে সিঁধকাটা ছেলে

                   ক্লাসের কর্তব্য ফেলে

        জানি না কী টানে

ছুটিতাম অন্দরের উপেক্ষিত নির্জন বাগানে।

              পুরোনো আমড়াগাছ হেলে আছে

                   পাঁচিলের কাছে,

                দীর্ঘ আয়ু বহন করিছে তার

        পুঞ্জিত নিঃশব্দ স্মৃতি বসন্তবর্ষার।

             লোভ করি নাই তার ফলে,

                   শুধু তার তলে

সে সঙ্গরহস্য আমি করিতাম লাভ

                    যার আবির্ভাব

অলক্ষ্যে ব্যাপিয়া আছে সর্ব জলে স্থলে।

        পিঠ রাখি কুঞ্চিত বল্কলে

                   যে পরশ লভিতাম

        জানি না তাহার কোনো নাম ;

হয়তো সে আদিম প্রাণের

        আতিথ্যদানের

                   নিঃশব্দ আহ্বান,

                         যে প্রথম প্রাণ

        একই বেগ জাগাইছে গোপন সঞ্চারে

                         রসরক্তধারে

             মানবশিরায় আর তরুর তন্তুতে,

        একই স্পন্দনের ছন্দ উভয়ের অণুতে অণুতে।

                       সেই মৌনী বনস্পতি

        সুবৃহৎ আলস্যের ছদ্মবেশে অলক্ষিতগতি

      সূক্ষ্ম সম্বন্ধের জাল প্রসারিছে নিত্যই আকাশে,

                   মাটিতে বাতাসে,

              লক্ষ লক্ষ পল্লবের পাত্র লয়ে

        তেজের ভোজের পানালয়ে।