আকাশপ্রদীপ

     বিনা কাজে আমিও তেমনি বসে থাকি

                    ছায়ায় একাকী,

             আলস্যের উৎস হতে

        চৈতন্যের বিবিধ দিগ্‌বাহী স্রোতে

আমার সম্বন্ধ চরাচরে

       বিস্তারিছে অগোচরে

কল্পনার সূত্রে বোনা জালে

   দূর দেশে দূর কালে।

      প্রাণে মিলাইতে প্রাণ

    সে বয়সে নাহি ছিল ব্যবধান ;

নিরুদ্ধ করে নি পথ ভাবনার স্তূপ ;

        গাছের স্বরূপ

সহজে অন্তর মোর করিত পরশ।

        অনাদৃত সে বাগান চায় নাই যশ

                   উদ্যানের পদবীতে।

             তারে চিনাইতে

মালীর নিপুণতার প্রয়োজন কিছু ছিল নাকো।

             যেন কী আদিম সাঁকো

                   ছিল মোর মনে

বিশ্বের অদৃশ্য পথে যাওয়ার আসার প্রয়োজনে।

 

        কুলগাছ দক্ষিণে কুয়োর ধারে,

পুবদিকে নারিকেল সারে সারে,

             বাকি সব জঙ্গল আগাছা।

                   একটা লাউয়ের মাচা

কবে যত্ন ছিল কারো, ভাঙা চিহ্ন রেখে গেছে পাছে।

             বিশীর্ণ গোলকচাঁপা-গাছে

                   পাতাশূন্য ডাল

অভুগ্নের ক্লিষ্ট ইশারার মতো। বাঁধানো চাতাল ;

        ফাটাফুটো মেঝে তার, তারি থেকে

গরিব লতাটি যেত চোখে-না-পড়ার ফুলে ঢেকে।

                   পাঁচিল ছ্যাৎলা-পড়া