পুনশ্চ

                 মিছেটা নয় ওর মনে,

                     সে ওর ভাষায়।

             ওর ব্যাকরণটা যার জানা

                     তবু বুঝতে হয় না দেরি।

              ওকে তুমি বল নিন্দুক — তা সত্য।

         সত্যকে বাড়িয়ে তুলে বাঁকিয়ে দিয়ে ও নিন্দে বানায় —

      যার নিন্দে করে তার মন্দ হবে ব'লে নয়,

যারা নিন্দে শোনে তাদের ভালো লাগবে ব'লে।

         তারা আছে সমস্ত সংসার জুড়ে।

             তারা নিন্দের নীহারিকা,

                  ও হল নিন্দের তারা,

             ওর জ্যোতি তাদেরই কাছ থেকে পাওয়া।

      আসল কথা ওর বুদ্ধি আছে, নেই বিবেচনা।

             তাই ওর অপরাধ নিয়ে হাসি চলে।

যারা ভালোমন্দ বিবেচনা করে সূক্ষ্ম তৌলের মাপে

                 তাদের দেখে হাসি যায় বন্ধ হয়ে;

              তাদের সঙ্গটা ওজনে হয় ভারী,

                     সয় না বেশিক্ষণ;

             দৈবে তাদের ত্রুটি যদি হয় অসাবধানে

                         হাঁপ ছেড়ে বাঁচে লোকে।

বুঝিয়ে বলি কাকে বলে অবিবেচনা —

    মাখন লক্ষ্মীছাড়াটা সংস্কৃতর ক্লাসে

           চৌকিতে লাগিয়ে রেখেছিল ভুসো;

ছাপ লেগেছিল পণ্ডিতমশায়ের জামার পিঠে;

           সে হেসেছিল, সবাই হেসেছিল

               পণ্ডিতমশায় ছাড়া।

হেডমাস্টার দিলেন ছেলেটাকে একেবারে তাড়িয়ে;

           তিনি অত্যন্ত গম্ভীর, তিনি অত্যন্ত বিবেচক।

                   তাঁর ভাব-গতিক দেখে হাসি বন্ধ হয়ে যায়।

    

  তিনু অপকার করে কিছু না ভেবে,

             উপকার করে অনায়াসে,