পুনশ্চ

               উচ্চ হেসে ধেয়ে চলে।

শরতের শেষে স্বচ্ছ হয়ে আসে জল,

           ক্ষীণ হয় তার ধারা,

        তলার বালি চোখে পড়ে,

    তখন শীর্ণ সমারোহের পাণ্ডুরতা

           তাকে তো লজ্জা দিতে পারে না।

তার ধন নয় উদ্ধত, তার দৈন্য নয় মলিন;

               এ দুইয়েই তার শোভা —

যেমন নটী যখন অলংকারের ঝংকার দিয়ে নাচে,

    আর যখন সে নীরবে বসে থাকে ক্লান্ত হয়ে,

        চোখের চাহনিতে আলস্য,

  একটুখানি হাসির আভাস ঠোঁটের কোণে।

 

 

কোপাই আজ কবির ছন্দকে আপন সাথি করে নিলে,

    সেই ছন্দের আপস হয়ে গেল ভাষার স্থলে জলে,

        যেখানে ভাষার গান আর যেখানে ভাষার গৃহস্থালি।

তার ভাঙা তালে হেঁটে চলে যাবে ধনুক হাতে সাঁওতাল ছেলে;

         পার হয়ে যাবে গোরুর গাড়ি

               আঁটি আঁটি খড় বোঝাই করে;

        হাটে যাবে কুমোর

           বাঁকে করে হাঁড়ি নিয়ে;

    পিছন পিছন যাবে গাঁয়ের কুকুরটা;

           আর, মাসিক তিন টাকা মাইনের গুরু

                   ছেঁড়া ছাতি মাথায়।