শেষ
      হে অশেষ, তব হাতে শেষ
                  ধরে কী অপূর্ব বেশ,
                      কী মহিমা।
                  জ্যোতির্হীন সীমা
                মৃত্যুর অগ্নিতে জ্বলি
                            যায় গলি,
       গড়ে তোলে অসীমের অলংকার।
হয় সে অমৃতপাত্র, সীমার ফুরালে অহংকার।
       শেষের দীপালিরাত্রে,হে অশেষ,
অমা-অন্ধকার-রন্ধ্রে দেখা যায় তোমার উদ্দেশ।

 

           ভোরের বাতাসে
       শেফালি ঝরিয়া পড়ে ঘাসে,
তারাহারা রাত্রির বীণার
           চরম ঝংকার।
       যামিনীর তন্দ্রাহীন দীর্ঘ পথ ঘুরি
প্রভাত-আকাশে চন্দ্র, করুণ মাধুরী
        শেষ করে যায় তার
উদয়সূর্যের পানে শান্ত নমস্কার।
       যখন কর্মের দিন
           ম্লান ক্ষীণ
গোষ্ঠ-চলা ধেনুসম সন্ধ্যার সমীরে
       চলে ধীরে আঁধারের তীরে—
      তখন সোনার পাত্র হতে
           কী অজস্র স্রোতে
তাহারে করাও স্নান অন্তিমের সৌন্দর্যধারায়।
       যখন বর্ষার মেঘ নিঃশেষে হারায়
                 বর্ষণের সকল সম্বল,
শরতে শিশুর জন্ম দাও তারে শুভ্র সমুজ্জল।