ভাঙা-মন্দির

পুণ্যলোভীর নাই হল ভিড়
            শূন্য তোমার অঙ্গনে,
            জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়।
অর্ঘ্যের আলো নাই বা সাজালো
            পুষ্পে প্রদীপে চন্দনে
            যাত্রীরা তব বিস্মৃতপরিচয়।
      সম্মুখপানে দেখো দেখি চেয়ে,
      ফাল্গুনে তব প্রাঙ্গণ ছেয়ে
      বনফুলদল ওই এল ধেয়ে
                     উল্লাসে চারি ধারে।
      দক্ষিণ বায়ে কোন্‌ আহ্বান
      শূন্যে জাগায় বন্দনাগান,
      কী খেয়াতরীর পায় সন্ধান
            আসে পৃথ্বীর পারে?
গন্ধের থালি বর্ণের ডালি
            আনে নির্জন অঙ্গনে,
            জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়,
      বকুল শিমূল আকন্দ ফুল
                     কাঞ্চন জবা রঙ্গনে
                     পূজাতরঙ্গ দুলে অম্বরময়।


প্রতিমা নাহয় হয়েছে চূর্ণ,
               বেদীতে নাহয় শূন্যতা,
               জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়,
নাহয় ধুলায় হল লুণ্ঠিত
               আছিল যে চূড়া উন্নতা,
               সজ্জা না থাকে কিসের লজ্জা ভয়?