পূরবী

      বাহিরে তোমার ওই দেখো ছবি,
      ভগ্নভিত্তিলগ্ন মাধবী,
      নীলাম্বরের প্রাঙ্গণে রবি
               হেরিয়া হাসিছে স্নেহে।
      বাতাসে পুলকি আলোকে আকুলি
      আন্দোলি উঠে মঞ্জরীগুলি,
      নবীন প্রাণের হিল্লোল তুলি
                     প্রাচীন তোমার গেহে।
সুন্দর এসে ওই হেসে হেসে
               ভরি দিল তব শূন্যতা,
               জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়।
ভিত্তিরন্ধ্রে বাজে আনন্দে
               ঢাকি দিয়া তব ক্ষুণ্নতা
               রূপের শঙ্খে অসংখ্য ‘জয় জয়’।


সেবার প্রহরে নাই আসিল রে
               যত সন্ন্যাসী-সজ্জনে,
               জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয়।
নাই মুখরিল পার্বণ-ক্ষণ
               ঘন জনতার গর্জনে,
               অতিথি-ভোগের না রহিল সঞ্চয়।
      পূজার মঞ্চে বিহঙ্গদল
      কুলায় বাঁধিয়া করে কোলাহল,
      তাই তো হেথায় জীববৎসল
                     আসিছেন ফিরে ফিরে।
      নিত্য সেবার পেয়ে আয়োজন
      তৃপ্ত পরানে করিছে কূজন,
      উৎসবরসে সেই তো পূজন
               জীবন-উৎসতীরে।
নাইকো দেবতা ভেবে সেই কথা