পরিশেষ

বন্দনবাণী নীরব গভীর,

অস্তাচলের করুণ কবির

        ছন্দ বসনভঙ্গে।

উষারুণ হতে রাঙা গোধূলির

        দূরদিগন্তপানে

বিভাসের গান হল অবসান

        বিধুর পূরবীতানে।

আমার নয়নে তব অঞ্জনে

        ফুটেছে বিশ্বচিত্র,

তোমার মন্ত্রে এ বীণাতন্ত্রে

        উদগাথা সুপবিত্র।

অতল তোমার চিত্তগহন,

মোর দিনগুলি সফেন নাচন,

তুমি সনাতনী আমিই নূতন,

        অনিত্য আমি নিত্য।

মোর ফাল্গুন হারায় যখন

        আশ্বিনে ফিরে লহ।

তব অপরূপে মোর নবরূপ

        দুলাইছ অহরহ।

 

আসিছে রাত্রি স্বপনধাত্রী,

        বনবাণী হল শান্ত।

জলভরা ঘটে চলে নদীতটে

        বধূর চরণ ক্লান্ত।

নিখিলে ঘনালো দিবসের শোক,

বাহির-আকাশে ঘুচিল আলোক,

উজ্জ্বল করি অন্তরলোক

        হৃদয়ে এলে একান্ত।

লুকানো আলোয় তব কালো চোখ

        সন্ধ্যাতারার দেশে

ইঙ্গিত তার গোপনে পাঠালো

        জানি না কী উদ্দেশে।