মহুয়া

     যেখানে কাঁঠাল জাম নারিকেল বেত

          প্রসারিয়া চলেছে সংকেত

              অজানা গ্রামের,

  সুখ দুঃখ জন্ম মৃত্যু অখ্যাত নামের।

              অপরাহ্নে ছাদে বসি

          এলোচুল বুকে পড়ে খসি,

             গ্রন্থ নিয়ে হাতে

উদাস হয়েছে মন সে যে কোন্‌ কবিকল্পনাতে।

            সুদূরের বেদনায়

     অতীতের অশ্রুবাষ্প হৃদয়ে ঘনায়।

            বীরের কাহিনী

না-দেখা জনের লাগি তারে যেন করে বিরহিণী।

              পূর্ণিমানিশীথে

     স্রোতে-ভাসা একা তরী যবে সকরুণ সারিগীতে

ছায়াঘন তীরে তীরে সুপ্তিতে সুরের ছবি আঁকে

     উৎসুক আকাঙ্ক্ষা জেগে থাকে

নিষুপ্ত প্রহরে,

     অহৈতুক বারিবিন্দু ঝরে

          আঁখিকোণে ;

যুগান্তরপার হতে কোন্‌ পুরাণের কথা শোনে।

          ইচ্ছা করে সেই রাতে

     লিপিখানি লেখে ভূর্জপাতে

লেখনীতে ভরি লয়ে দুঃখে-গলা কাজলের কালি —

              নাম কি খেয়ালী।

 

কাকলী

     কলছন্দে পূর্ণ তার প্রাণ —

              নিত্য বহমান

          ভাষার কল্লোলে

              জাগাইয়া তোলে

                   চারি ধারে