মহুয়া

          প্রত্যহের জড়তারে ;

                   সংগীতে তরঙ্গ তুলি

              হাসিতে ফেনিল তার ছোটো দিনগুলি।

     আঁখি তার কথা কয়, বাহুভঙ্গি কত কথা বলে,

              চরণ যখন চলে

              কথা কয়ে যায় —

     যে কথাটি অরণ্যের পাতায় পাতায় ;

     যে কথাটি ঢেউ তোলে

আশ্বিনে ধানের খেতে, প্রান্ত হতে প্রান্তে যায় চলে ;

            যে কথাটি নিশীথতিমিরে,

     তারায় তারায় কাঁপে অধীর মির্মিরে ;

            যে কথাটি মহুয়ার বনে

              মধুপগুঞ্জনে

            সারাবেলা উঠিছে চঞ্চলি —

               নাম কি কাকলী।

 

পিয়ালী

চাহনি তাহার, সব কোলাহল হ ' লে সারা

          সন্ধ্যার তিমিরে ভাসা তারা।

      মৌনখানি সুমধুর মিনতিরে

লতায়ে লতায়ে যেন মনের চৌদিকে দেয় ঘিরে ;

  নির্বাক চাহিয়া থাকে, নাহি পায় ভেবে

       কেমন করিয়া কী-যে দেবে।

     দুয়ারবাহিরে

       আসে ধীরে,

  ক্ষণেক নীরব থেকে চলে যায় ফিরে।

       নাও যদি কয় কথা

     মনে যেন ভরি দেয় সুস্নিগ্ধ মমতা।

               পায়ের চলায়

     কিছু যেন দান করে ধূলির তলায়।

       তারে কিছু করিলে জিজ্ঞাসা