মহুয়া

       কেবলই আলো-আঁধারে

          সংশয় বাধায় ;

ছল-করা অভিমানে বৃথা সে সাধায়।

       সে কি শরতের মায়া

উড়ো মেঘে নিয়ে আসে বৃষ্টিভরা ছায়া।

          অনুকূল চাহনির তলে

              কী বিদ্যুৎ ঝলে।

       কেন দয়িতের মিনতিকে

অভাবিত উচ্চ হাস্যে উড়াইয়া দেয় দিকে দিকে।

     তার পরে আপনার নির্দয় লীলায়

          আপনি সে ব্যথা পায়,

ফিরে যে গিয়েছে তারে ফিরায়ে ডাকিতে কাঁদে প্রাণ ;

  আপনার অভিমানে করে খানখান।

 

            কেন তার চিত্তাকাশে সারা বেলা

     পাগল হাওয়ার এই এলোমেলো খেলা।

          আপনি সে পারে না বুঝিতে

যেদিকে চলিতে চায় কেন তার চলে বিপরীতে।

          গভীর অন্তরে

     যেন আপনার অগোচরে

  আপনার সাথে তার কী আছে বিরোধ,

অন্যেরে আঘাত করে আত্মঘাতী ক্রোধ ;

     মুহূর্তেই বিগলিত করুণায়

        অপমানিতের পায়

          প্রাণমন দেয় ঢালি —

        নাম কি হেঁয়ালি।

 

খেয়ালী

মধ্যাহ্নে বিজন বাতায়নে

                   সুদূর গগনে

     কী দেখে সে ধানের খেতের পরপারে —

নিরালা নদীর পথে দিগন্তে সবুজ অন্ধকারে