স্বপ্ন

                দূরে বহুদূরে

        স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনীপুরে

খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রানদীপারে

মোর পূর্বজনমের প্রথমা প্রিয়ারে।

মুখে তার লোধ্ররেণু লীলাপদ্ম হাতে,

কর্ণমূলে কুন্দকলি কুরুবক মাথে,

তনু দেহে রক্তাম্বর নীবিবন্ধে বাঁধা,

চরণে নূপুরখানি বাজে আধা আধা।

                বসন্তের দিনে

ফিরেছিনু বহুদূরে পথ চিনে চিনে।

 

 

       মহাকাল মন্দিরের মাঝে

তখন গম্ভীর মন্দ্রে সন্ধ্যারতি বাজে।

জনশূন্য পণ্যবীথি, ঊর্ধ্বে যায় দেখা

অন্ধকার হর্ম্য- ‘পরে সন্ধ্যারশ্মিরেখা।

 

 

              প্রিয়ার ভবন

বঙ্কিম সংকীর্ণ পথে দুর্গম নির্জন।

দ্বারে আঁকা শঙ্খ চক্র, তারি দুই ধারে

দুটি শিশু নীপতরু পুত্রস্নেহে বাড়ে।

       তোরণের স্বেতস্তম্ভ- ’পরে

সিংহের গম্ভীর মূর্তি বসি দম্ভভরে।

 

 

প্রিয়ার কপোতগুলি ফিরে এল ঘরে,

ময়ূর নিদ্রায় মগ্ন স্বর্ণদণ্ড- ’পরে।

       হেনকালে হাতে দীপশিখা

ধীরে ধীরে নামি এল মোর মালবিকা।