লগ্ন

প্রথম মিলনদিন, সে কি হবে নিবিড় আষাঢ়ে

          যেদিন গৈরিকবস্ত্র ছাড়ে

     আসন্নের আশ্বাসে সুন্দরা

              বসুন্ধরা?

     প্রাঙ্গণের চারি ধার ঢাকিয়া সজল আচ্ছাদনে

          যেদিন সে বসে প্রসাধনে

              ছায়ার আসন মেলি ;

          পরি লয় নূতন সবুজরঙা চেলি,

              চক্ষুপাতে লাগায় অঞ্জন,

          বক্ষে করে কদম্বের কেশর রঞ্জন।

     দিগন্তের অভিষেকে

বাতাস অরণ্যে ফিরি নিমন্ত্রণ যায় হেঁকে হেঁকে।

          যেদিন প্রণয়ীবক্ষতলে

মিলনের পাত্রখানি ভরে অকারণ অশ্রুজলে,

     কবির সংগীত বাজে গভীর বিরহে।–

              নহে নহে, সেদিন তো নহে।

 

          সে কি তবে ফাল্গুনের দিনে,

যেদিন বাতাস ফিরে গন্ধ চিনে চিনে

          সবিস্ময়ে বনে বনে,

শুধায় সে মল্লিকারে কাঞ্চন-রঙ্গনে,

          তুমি কবে এলে।

নাগকেশরের কুঞ্জ কেশর ধুলায় দেয় ফেলে

          ঐশ্বর্যগৌরবে।

              কলরবে

     অজস্র মিশায় বিহঙ্গম

ফুলের বর্ণের সঙ্গে ধ্বনির সংগম ;

 

     অরণ্যের শাখায় শাখায়

     প্রজাপতিসংঘ আনে পাখায় পাখায়