লেখন

ভারী কাজের বোঝাই তরী কালের পারাবারে

পাড়ি দিতে গিয়ে কখন ডোবে আপন ভারে।

তার চেয়ে মোর এই কখানা হালকা কথার গান

হয়তো ভেসে বইবে স্রোতে তাই করে যাই দান॥                ৫

 

     বসন্ত সে কুঁড়ি ফুলের দল

          হাওয়ায় কত ওড়ায় অবহেলায়।

     নাহি ভাবে ভাবী কালের ফল

          ক্ষণকালের খামখেয়ালি খেলায়॥                      ৬

 

স্ফুলিঙ্গ তার পাখায় পেল ক্ষণকালের ছন্দ।

উড়ে গিয়ে ফুরিয়ে গেল সেই তারি আনন্দ॥                     ৭

 

সুন্দরী ছায়ার পানে তরু চেয়ে থাকে —

সে তার আপন, তবু পায় না তাহাকে॥                         ৮

 

আমার প্রেম রবি-কিরণ-হেন

জ্যোতির্ময় মুক্তি দিয়ে তোমারে ঘেরে যেন॥                       ৯

 

মাটির সুপ্তিবন্ধন হতে আনন্দ পায় ছাড়া,

ঝলকে ঝলকে পাতায় পাতায় ছুটে এসে দেয় নাড়া॥             ১০

 

অতল আঁধার নিশা পারাবার, তাহারি উপরিতলে

দিন সে রঙিন বুদ্‌বুদসম অসীমে ভাসিয়া চলে॥                     ১১

 

ভীরু মোর দান ভরসা না পায়

     মনে সে যে রবে কারো,

হয়তো বা তাই তব করুণায়

     মনে রাখিতেও পার॥                                       ১২

 

ফাগুন, শিশুর মতো, ধূলিতে রঙিন ছবি আঁকে —

ক্ষণে ক্ষণে মুছে ফেলে, চলে যায়, মনেও না থাকে॥            ১৩