শ্যামা
              দেরি কোরো না, দেরি কোরো না, দেরি কোরো না॥ স্বরলিপি
       প্রহরী।  দাঁড়াও, কোথা চলো,  তোমরা কে বলো বলো॥ স্বরলিপি
      সখীগণ।  আমরা আহিরিনী,  সারা হল বিকিকিনি–
              দূর গাঁয়ে চলি ধেয়ে  আমরা বিদেশী মেয়ে॥ স্বরলিপি
       প্রহরী।  ঘাটে বসে হোথা ও কে॥ স্বরলিপি
      সখীগণ।  সাথি মোদের ও যে নেয়ে–
              যেতে হবে দূর পারে,  এনেছি তাই ডেকে তারে।
              নিয়ে যাবে তরী বেয়ে  সাথি মোদের ও যে নেয়ে–
              ওগো প্রহরী, বাধা দিয়ো না, বাধা দিয়ো না
                         মিনতি করি ওগো প্রহরী॥ স্বরলিপি


প্রস্থান

  সখী।  কোন্‌ বাঁধনের গ্রন্থি বাঁধিল দুই অজানারে
                   এ কী সংশয়েরই অন্ধকারে।
             দিশাহারা হাওয়ায় তরঙ্গদোলায়
             মিলনতরণীখানি ধায় রে কোন্‌  বিচ্ছেদের পারে॥ স্বরলিপি


বজ্রসেন ও শ্যামার প্রবেশ

বজ্রসেন।  হৃদয়বসন্তবনে যে মাধুরী বিকাশিল
             সেই প্রেম এই মালিকায় রূপ নিল, রূপ নিল, রূপ নিল।
             এই ফুলহারে, প্রেয়সী, তোমারে বরণ করি–
             অক্ষয়মধুর সুধাময় হোক  মিলনবিভাবরী।
             প্রেয়সী, তোমায় প্রাণবেদিকায়  প্রেমের পূজায় বরণ করি। স্বরলিপি
                         –
                   কহো কহো মোরে প্রিয়ে,
             আমারে করেছ মুক্ত কী সম্পদ দিয়ে।
                    অয়ি বিদেশিনী,
             তোমার কাছে আমি কত ঋণে ঋণী॥ স্বরলিপি
       শ্যামা।  নহে নহে নহে– সে কথা এখনো নহে॥ স্বরলিপি
      সহচরী।  নীরবে থাকিস সখী, ও তুই নীরবে থাকিস
                 তোর প্রেমেতে আছে যে কাঁটা