শ্যামা
শ্যামার দ্রুত প্রবেশ

   শ্যামা।  থাম্‌ রে,  থাম্‌ রে তোরা,  ছেড়ে দে, ছেড়ে দে–
                দোষী  ও-যে নয় নয়,  মিথ্যা, মিথ্যা সবই–
                   আমারি ছলনা ও যে–
                বেঁধে নিয়ে যা মোরে  রাজার চরণে॥ স্বরলিপি
         প্রহরী।  চুপ করো, দূরে যাও, দূরে যাও নারী–
                    বাধা  দিয়ো না, বাধা দিয়ো না॥ স্বরলিপি


দুই হাতে মুখ ঢেকে শ্যামার প্রস্থান
প্রহরীর উত্তীয়কে হত্যা

    সখী।  কোন্‌ অপরূপ স্বর্গের আলো
                দেখা দিল রে প্রলয়রাত্রি ভেদি দুর্দিনদুর্যোগে,
                মরণমহিমা ভীষণের বাজালো বাঁশি।
                অকরুণ নির্মম ভুবনে দেখিনু এ কী সহসা–
                  কোন্‌ আপনা-সমর্পণ, মুখে নির্ভয় হাসি॥ স্বরলিপি


তৃতীয় দৃশ্য

   শ্যামা।  বাজে গুরু গুরু শঙ্কার ডঙ্কা,
                ঝঞ্ঝা ঘনায় দূরে ভীষণনীরবে।
                কত রব সুখস্বপ্নের ঘোরে আপনা ভুলে–
                      সহসা জাগিতে হবে। স্বরলিপি


বজ্রসেনের প্রবেশ

       হে বিদেশী, এসো এসো।  হে আমার প্রিয়,
                এই কথা স্মরণে রাখিয়ো– এসো এসো–
                তোমা-সাথে এক স্রোতে ভাসিলাম আমি,
                হে হৃদয়স্বামী, জীবনে মরণে প্রভু॥ স্বরলিপি
        বজ্রসেন।      আহা, এ কী আনন্দ!
                হৃদয়ে দেহে ঘুচালে মম সকল বন্ধ।