শ্যামা
                 ওরে, নির্মম ব্যাধ যে গাঁথে মরণের ফাঁসি।
                 রঙিন মেঘের তলে গোপন অশ্রুজলে
                       বিধাতার দারুণ বিদ্রূপবজ্রে
                          সঞ্চিত নীরব অট্টহাসি  হা-হা॥ স্বরলিপি


চতুর্থ দৃশ্য
কোটালের প্রবেশ

   কোটাল।  পুরী হতে পালিয়েছে যে পুরসুন্দরী
              কোথা তারে ধরি– কোথা তারে ধরি।
              রক্ষা রবে না, রক্ষা রবে না–
              এমন ক্ষতি রাজার সবে না, রক্ষা রবে না।
              বন হতে কেন গেল অশোকমঞ্জরী
              ফাল্গুনের অঙ্গন শূন্য করি।
              ওরে  কে তুই ভুলালি,  তারে  কে তুই ভুলালি–
              ফিরিয়ে দে তারে, মোদের বনের দুলালী
                 তারে  কে তুই ভুলালি॥ স্বরলিপি


প্রস্থান
মেয়েদের প্রবেশ। শেষে প্রহরীর প্রবেশ

  সখীগণ।  রাজভবনের সমাদর সম্মান ছেড়ে
                   এল আমাদের সখী।
              দেরি কোরো না, দেরি কোরো না, দেরি কোরো না–
                   কেমনে যাবে অজানা পথে
                         অন্ধকারে দিক্‌ নিরখি  হায়।
              অচেনা প্রেমের চমক লেগে
              প্রলয়রাতে সে উঠেছে জেগে– অচেনা প্রেমে।
              ধ্রুবতারাকে পিছনে রেখে
                   ধূমকেতুকে চলেছে লখি  হায়।
              কাল সকালে পুরোনো পথে
                   আর কখনো ফিরিবে ও কি  হায়।