শ্যামা
           তার   গোপন ব্যথার নীরব রাত্রি হোক আজি অবসান॥ স্বরলিপি


                শ্যামা হাত ধ’রে উত্তীয়ের মুখের দিকে চেয়ে রইল
                অল্পক্ষণ পরে হাত ছেড়ে ধীরে ধীরে চলে গেল


    সখী।         তোমার প্রেমের বীর্যে
                তোমার প্রবল প্রাণ সখীরে করিলে দান।
                তব মরণের ডোরে  বাঁধিলে বাঁধিলে ওরে
                    অসীম পাপে  অনন্ত শাপে।
                        তোমার চরম অর্ঘ্য
                কিনিল সখীর লাগি নারকী প্রেমের স্বর্গ॥ স্বরলিপি
         উত্তীয়।  প্রহরী, ওগো প্রহরী,  লহো লহো লহো মোরে বাঁধি।
                    বিদেশী নহে সে তব শাসনপাত্র–
                    আমি একা অপরাধী। স্বরলিপি
        কোটাল।  তুমিই করেছ তবে চুরি? স্বরলিপি
         উত্তীয়।     এই দেখো রাজ-অঙ্গুরী–
                রাজ-আভরণ দেহে করেছি ধারণ আজি,
                   সেই পরিতাপে আমি কাঁদি॥ স্বরলিপি


উত্তীয়কে লইয়া প্রহরীর প্রস্থান

   সখী।  বুক যে ফেটে যায়  হায় হায় রে।
                তোর  তরুণ জীবন দিলি নিষ্কারণে
                মৃত্যুপিপাসিনীর পায় রে  ওরে সখা।
                মধুর দুর্লভ যৌবনধন ব্যর্থ করিলি  কেন অকালে
                পুষ্পবিহীন গীতিহারা মরণমরুর পারে  ওরে সখা॥ স্বরলিপি


প্রস্থান
কারাগারে উত্তীয়। প্রহরীর প্রবেশ

  প্রহরী।  নাম লহো দেবতার।  দেরি তব নাই আর–
                      দেরি তব নাই আর।
                 ওরে পাষণ্ড,  লহো চরম দণ্ড।  তোর
                         অন্ত যে নাই আস্পর্ধার॥ স্বরলিপি