প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
|
![]() |
‘লজ্জা করবার কারণ নেই’ এটা আমরা লিখে থাকি। ‘লজ্জাবার কারণ নেই’ লেখাটি নির্লজ্জতা। এমন স্থলে ওই জোড়া ক্রিয়াপদটা বর্জন করাই শ্রেয় মনে করি। লিখলেই হয় ‘লজ্জার কারণ নেই’। ‘প্রুফ সংশোধন করবার বেলায়’ কথাটা সংশোধনীয়, বলা ভালো ‘সংশোধনের বেলায়’। সহজ ব’লেই গদ্যে আমরা পুরো মন দিই নে, বাহুল্য শব্দ বিনা বাধায় যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ে। আমার রচনায় তার ব্যতিক্রম আছে এমন অহংকার আমার পক্ষে অত্যুক্তি হবে।
ভাষার খেয়াল সম্বন্ধে একটা দৃষ্টান্ত আমার প্রায় মনে পড়ে। ভালো বিশেষণ ও বাসা ক্রিয়াপদ জুড়ে ভালোবাসা শব্দটার উৎপত্তি। কিন্তু ও-দুটো শব্দ একটা অখণ্ড ক্রিয়াপদ রূপে দাঁড়িয়ে গেছে। পূর্বকালে ওই ‘বাসা’ শব্দটা হৃদয়াবেগসূচক বিশেষ্যপদকে ক্রিয়াপদে মিলিয়ে নিত। যেমন ভয় বাসা, লাজ বাসা। এখন হওয়া করা পাওয়া ক্রিয়াপদ জুড়ে ওই কাজ চালাই। ‘বাসা’ শব্দটা একমাত্র হৃদয়বোধসূচক; হওয়া পাওয়া করা তা নয়। এই কারণে ‘বাসা’ কথাটা যদি ছুটি না নিয়ে আপন পূর্ব কাজে বহাল থাকত তা হলে ভাবপ্রকাশে জোর লাগাত। ‘এ কথায় তার মন ধিক্কার বাস্ল’ প্রয়োগটা আমার মতে ‘ধিক্কার পেল’র চেয়ে জোরালো।