ছেলেভুলানো ছড়া : ২
এক কন্যে রাঁধেন বাড়েন, এক কন্যে খান।
এক কন্যে না পেয়ে বাপের বাড়ি যান॥
বাপেদের তেল আমলা, মালীদের ফুল–
এমন ক’রে চুল বাঁধব হাজার টাকা মূল॥
হাজারে বাজারে পড়ে পেলাম খাঁড়া।
সেই খাঁড়া দিয়ে কাটলাম নাল কচুর দাঁটা॥

 
      ৩৫
খোকাবাবু চৌধুরী
গাঁ পেয়েছে আগুড়ি।
মাছ পেয়েছে পবা॥
আমার খোকামণির বউ ডাকছে।
ভাত খাওসে বাবা॥

 
               ৩৬
একবার নাচো চাঁদের কোণা।
আমি মুরলী বাঁধিয়ে দেব যত লাগে সোনা।
আবার তোমার নাচন আমি জানি, জানে না ব্রজাঙ্গনা॥

 
                ৩৭
শিব নাচে, ব্রহ্মা নাচে, আর নাচে ইন্দ্র।
গোকুলে গোয়ালা নাচে পাইয়ে গোবিন্দ॥
ক্ষীর-খিরসে ক্ষীরের নাড়ু, মর্তমানের কলা।
নুটিয়ে নুটিয়ে খায় যত গোপের বালা॥
নন্দের মন্দিরে গোয়ালা এল ধেয়ে।
তাদের হাতে নড়ি, কাঁধে ভাঁড়, নাচে থেয়ে থেয়ে॥

 
         ৩৮
খোকা নাচে কোন্‌খানে।
শতদলের মাঝখানে॥
সেখানে খোকা চুল ঝাড়ে-
থোকা থোকা ফুল পড়ে।
তাই নিয়ে খোকা খেলা করে॥