বিশ্বভারতী ১৯
শ্রদ্ধাহীন স্পর্ধা দ্বারাই তপস্যাকে মন থেকে প্রত্যাখ্যান কোরো না—এই স্বীকার করে নাও।

ইতিহাসে বিপর্যয় বহু ঘটেছে, সভ্যতার বহু কীর্তিমন্দির যুগে যূগে বিদ্ধস্ত হয়েছে, তবু মানুষের শক্তি আজও সম্পূর্ণ লোপ পায় নি। সেই ভরসার ‘পরে ভর করে মজ্জমান তরী উদ্ধার-চেষ্টা করতে হবে, নতুন হাওয়ার পালে সে আবার যাত্রা শুরু করবে। কালের স্রোত বর্তমান যুগের নবীন কর্ণধারদেরকেও ভিতরে যে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তা সব সময় তাদের অনুভূতিতে পৌঁছয় না। একদিন যখন প্রগল্‌ভ তর্কের এবং বিদ্রূপমুখর অট্টহাস্যের ভিতর দিয়ে তাদেরও বয়সের অঙ্ক বেড়ে যাবে তখন সংশয়শুষ্ক বন্ধ্যা বুদ্ধির অভিমান প্রাণে শান্তি দেবে না। অমৃত উৎসের অন্বেষণ তখন আরম্ভ হবে জীবনে।

সেই আশা পথের পথিক আমরা, নতুন প্রভাতের উদ্‌বোধন মন্ত্র শ্রদ্ধার সঙ্গে দান করবার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছি, যে শ্রদ্ধায় আছে অপরাজেয় বীর্য, নাস্তিবাদের অন্ধকারে যার দৃষ্টি পরাহত হবে না, যে ঘোষণা করবে-

                বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম্‌

                আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ।