বসন্ত
তাহার আসা হাওয়ায় ঢাকা,
      সে যে সৃষ্টিছাড়া।
হিয়ায় হিয়ায় জাগল বাণী,
পাতায় পাতায় কানাকানি,
‘ওই এল যে’, ‘ওই এল যে’
         পরান দিল সাড়া।
  এই তো আমার আপনারই এই
         ফুল ফোটানোর মাঝে
  তারে দেখি নয়ন ভ’রে     
           নানা রঙের সাজে।
এই-যে পাখির গানে গানে
চরণধ্বনি বয়ে আনে,    
বিশ্ববীণার তারে তারে  
      এই তো দিল নাড়া।

রাজা। কবি, ঐ তো পূর্ণচন্দ্র উঠেছে দেখছি।

কবি। দখিনহাওয়ায় যেন কোন্‌ দেবতার স্বপ্ন ভেসে এল।

রাজা। শুধু দখিনহাওয়ায় ওকে ভাসালে চলবে না কবি, তোমার গানের সুরও চাই। জগতে কেবল যে দেবতাই আছেন তা তো নয়।

শালবীথিকা


     ভাঙল হাসির বাঁধ।

অধীর হয়ে মাতল কেন     

         পূর্ণিমার ওই চাঁদ।

     উতল হাওয়া ক্ষণে ক্ষণে

     মুকুলছাওয়া বকুলবনে  

     দোল দিয়ে যায়, পাতায় পাতায়

                   ঘটায় পরমাদ।

ঘুমের আঁচল আকুল হল

     কী উল্লাসের ভরে।

স্বপন যত ছড়িয়ে পল   

     দিকে দিগন্তরে।

     আজ রাতের এই পাগলামিরে

     বাঁধবে ব'লে কে ওই ফিরে,