মালিনী
বজ্রসম ভয়ংকর। রক্ষা করো পিতঃ,
আনিয়ো না সুপ্রিয়েরে।
  রাজা।                        কেন, মা, শঙ্কিত
অকারণে? কোনো ভয় নাই।


ক্ষেমংকরের নিকট সুপ্রিয়ের আগমন
আলিঙ্গন প্রত্যাখ্যান করিয়া
ক্ষেমংকর।                            থাক্‌ থাক্‌,
যাহা বলিবার আছে আগে হয়ে যাক—
পরে হবে প্রণয়সম্মান। এসো হেথা।
জান সখে, বাক্যদীন আমি— বেশি কথা
জোগায় না মুখে। সময় অধিক নাই,
আমার বিচার হল শেষ—আমি চাই
তোমার বিচার এবে। বলো মোর কাছে
এ কাজ করেছ কেন?
সুপ্রিয়।                        বন্ধু এক আছে
শ্রেষ্ঠতম, সে আমার আত্মার নিশ্বাস,
সব ছেড়ে রাখিয়াছি তাহারি বিশ্বাস
প্রাণসখে—ধর্ম সে আমার।
ক্ষেমংকর।                              জানি জানি
ধর্ম কে তোমার। ওই স্তব্ধ মুখখানি
অন্তর্জ্যোতির্ময়,মূর্তিমতী দৈববাণী
রাজকন্যারূপে— চতুর্বেদ হতে, সখে,
কেড়ে লয়ে পিতৃধর্ম ওই নেত্রালোকে
দিয়েছ আহুতি তুমি। ধর্ম ওই তব।
ওই প্রিয়মুখে তুমি রচিয়াছ নব
ধর্মশাস্ত্র আজি।
সুপ্রিয়।                    সত্য বুঝিয়াছ সখে।
মোর ধর্ম অবতীর্ণ দীন মর্ত্যলোকে
ওই নারীমূর্তি ধরি। শাস্ত্র এতদিন
মোর কাছে ছিল অন্ধ জীবনবিহীন ;