মালিনী
শৃঙ্খলবদ্ধ ক্ষেমংকরের প্রবেশ
নেত্র স্থির, ঊর্ধ্বশির, ভ্রূকুটির ’পরে
ঘনায়ে রয়েছে ঝড়, হিমাদ্রিশিখরে
স্তম্ভিত শ্রাবণসম।
মালিনী।                      লোহার শৃঙ্খল
ধিক্কার মানিছে যেন লজ্জায় বিকল
ওই অঙ্গ-’পরে। মহত্ত্বের অপমান
মরে অপমানে। ধন্য মানি এ পরান
ইন্দ্রতুল্য হেন মুর্তি হেরি।


বন্দির প্রতি
 রাজা।                             কী বিধান
হয়েছে শুনেছ?
ক্ষেমংকর।                     মৃত্যুদণ্ড।
 রাজা।                             যদি প্রাণ
ফিরে দিই, যদি ক্ষমা করি!
ক্ষেমংকর।                             পুনর্বার
তুলিয়া লইতে হবে কর্তব্যের ভার—
যে পথে চলিতেছিনু আবার সে পথে
যেতে হবে।
 রাজা।                   বাঁচিতে চাহ না কোনোমতে!
ব্রাহ্মণ, প্রস্তুত হও মমতা তেয়াগি
জীবনের। এই বেলা লহ তবে মাগি
প্রার্থনা যা-কিছু থাকে।
ক্ষেমংকর।                          আর কিছু নাহি,
বন্ধু সুপ্রিয়েরে শুধু দেখিবারে চাহি।


প্রতিহারীর প্রতি
  রাজা।   ডেকে আনো তারে।
মালিনী।                        হৃদয় কাঁপিছে বুকে।
কী যেন পরমা শক্তি আছে ওই মুখে