প্রকৃতির প্রতিশোধ
ছিছি, জনমিল প্রাণে এ কী এ বিকার!
সহসা কেন রে এত করিল চঞ্চল!
কোথা লুকাইয়া ছিল হৃদয়ের মাঝে
ক্ষুদ্র রোষ, অগ্নিজিহ্ব নরকের কীট!
কোন্‌ অন্ধকার হতে উঠিল ফুঁসিয়া!
এতদিন অনাহারে এখনো মরে নি!
হৃদয়ে লুকানো আছে এ কী বিভীষিকা!
কোথা যে কে আছে গুপ্ত কিছু তো জানি নে।
হৃদয়শ্মশান মাঝে মৃতপ্রাণী যত
প্রাণ পেয়ে নাচিতেছে কঙ্কালের নাচ,
কেমনে নিশ্চিন্ত হয়ে রহি আমি আর!


প্রকাশ্যে


দাও বৎসে, এনে দাও ফলফুল তব,
দেখাও কোথায় বাছা লতাটি তোমার —
না, না, আমি চলিলাম নগরে ভ্রমিতে।
দু দণ্ড বসিয়া থাকো, আসিব এখনি।
[প্রস্থান
সপ্তম দৃশ্য
পর্বতশিখরে সন্ন্যাসী
পর্বতপথে দুই জন স্ত্রীলোকের প্রবেশ


গান


   বনে এমন ফুল ফুটেছে,
মান করে থাকা আজ কি সাজে!
মান-অভিমান ভাসিয়ে দিয়ে
   চলো চলো কুঞ্জমাঝে।
আজ কোকিলে গেয়েছে কুহু,   মুহুর‍্মুহু,
আজ    কাননে ঐ বাঁশি বাজে।
   মান করে থাকা আজ কি সাজে!
আজ মধুরে মিশাবি মধু,   পরান-বঁধু
চাঁদের আলোয় ঐ বিরাজে।