পরিশিষ্ট ২
সকল বাতাস সকল আকাশ
ওই পারের ওই বাঁশির সুরে উঠে
শিহরি।
বজ্রসেন।
কহো কহো মোরে প্রিয়ে,
আমারে করেছ মুক্ত কী সম্পদ
দিয়ে।
অয়ি বিদেশিনী,
তোমারই কাছে আমি কত ঋণে ঋণীৼ
শ্যামা। নহে নহে নহে। সে কথা
এখন নহেৼ
ওই রে তরী দিল খুলে।
তোর বোঝা কে নেবে তুলে।
সামনে যখন যাবি ওরে,
থাক্-না পিছন পিছে পড়ে—
পিঠে তারে বইতে গেলে
একলা প’ড়ে রইবি কূলে।
ঘরের বোঝা টেনে টেনে
পারের ঘাটে রাখলি এনে—
তাই যে তোরে বারে বারে
ফিরতে হল গেলি ভুলে।
ডাক্ রে আবার মাঝিরে ডাক্,
বোঝা তোমার যাক ভেসে যাক—
জীবনখানি উজাড় ক’রে
সঁপে দে তার চরণমূলেৼ
বজ্রসেন। কী করিয়া সাধিলে অসাধ্য
ব্রত কহো বিবরিয়া।
জানি যদি,প্রিয়ে,
শোধ দিব এ জীবন দিয়ে—
এই মোর পণৼ
শ্যামা। নহে নহে নহে। সে কথা
এখন নহেৼ
তোমা লাগি যা করেছি কঠিন সে
কাজ,
আরো সুকঠিন আজ তোমারে সে কথা
বলা—
বালক কিশোর, উত্তীয় তার নাম—