শৈশবসঙ্গীত
মধ্যাহ্ন
“আর
কত দূর?” “যত দূর হোক্
ত্বরা চল সেই দেশ।
বিলম্ব হইলে আজিকার দিনে
এ যাত্রা হবে না শেষ।”
“এ শ্রান্ত চরণে বিঁধিয়াছে বড়
কণ্টক বিষম গো।”
“প্রথম তপন হানিছে কিরণ
অনলের সম গো।”
“ছি ছি ছি সামান্য শ্রমেতে কাতর
করিছ রোদন কেন!
ছি ছি ছি সামান্য ব্যথায় অধীর
শিশুর মতন হেন!”
“যাহা ভেবেছিনু সকাল বেলায়
কিছুই তাহা যে নয়।”
“তাহাই ব’লে কি আধ’পথ হ’তে
ফিরে যেতে সাধ হয়?”
“তবে চল যাই— যত দূর হোক্
ত্বরা চল সেই দেশ—
বিলম্ব হইলে আজিকার দিনে
এ যাত্রা হবে না শেষ।”
“বল দেখি তবে এই মরুময়
পথের কি শেষ আছে?
পাব কি আবার শ্যামল কানন
ঘন ছায়াময় গাছে?”
“হয়ত বা পাবে হয়ত পাবে না,
হয়ত বা আছে, হয়ত নাই!”
“ওই যে সুদুরে দূরদিগন্তরে
শ্যামল কানন দেখিতে পাই।”
“শ্যামল কানন— শ্যামল কানন—
ওই যে গো হেরি শ্যামল কানন—