প্রভাতী
শুন নলিনী, খোল গো
আঁখি,
ঘুম এখনো
ভাঙ্গিল না কি!
দেখ, তোমারি দুয়ার-’পরে
সখি
এসেছে তোমারি রবি।
শুনি, প্রভাতের গাথা মোর
দেখ ভেঙ্গেছে ঘুমের
ঘোর,
দেখ জগৎ উঠেছে নয়ন
মেলিয়া
নূতন জীবন লভি।
তবে তুমি গো সজনি, জাগিবে না কি,
আমি যে তোমারি কবি।
শুন,
আমার কবিতা তবে,
আমি
গাহিব নীরব রবে
ভবে
নব জীবনের গান।
প্রভাতজলদ, প্রভাতসমীর,
প্রভাতবিহগ, প্রভাতশিশির
সমস্বরে তারা সকলে মিলি
মিশাবে মধুর তান!
প্রতিদিন আসি, প্রতিদিন হাসি,
প্রতিদিন গান গাহি,
প্রতিদিন প্রাতে শুনিয়া সে গান
ধীরে ধীরে উঠ চাহি।
আজিও এসেছি চেয়ে দেখ দেখি,
আর ত রজনী নাহি!
শিশিরে মুখানি মাজি,
সখি
লোহিত বসনে সাজি,
দেখ বিমল সরসী-আরসীর
‘পরে
অপরূপ রূপরাশি।
তবে, থেকে থেকে ধীরে নুইয়া পড়িয়া,
নিজ মুখছায়া আধেক হেরিয়া,
ললিত অধরে উঠিবে ফুটিয়া
সরমের মৃদু হাসি।