লীলা
গাথা
“সাধিনু— কাঁদিনু— কত না করিনু—
ধন মান যশ সকলি ধরিনু—
চরণের তলে তার—
এত করি তবু পেলেম না মন
ক্ষুদ্র এক বালিকার!
না যদি পেলেম— নাইবা পাইনু—
চাই না— চাই না তারে!
কি ছার সে বালা! তার তরে যদি
সহে তিল দুখ এ পুরুষহৃদি,
তা হ’লে পাষাণো ফেলিবে শোণিত
ফুলের কাঁটার ধারে!
এ কুমতি কেন হয়েছিল বিধি,
তারে সঁপিবারে গিয়েছিনু হৃদি!
এ নয়নজল ফেলিতে হইল
তাহার চরণতলে?
বিষাদের শ্বাস ফেলিনু, মজিয়া
তাহার কুহকবলে?
এত আঁখিজল হইল বিফল,
বালিকাহৃদয় করিব যে জয়
নাই হেন মোর গুণ?
হীন রণধীরে ভালবাসে বালা,
তার গলে দিবে পরিণয়মালা!
এ কি লাজ নিদারুণ!
হেন অপমান নারিব সহিতে,
ঈর্ষার অনল নারিব বহিতে,
ঈর্ষা? কারে ঈর্ষা? হীন রণধীরে?
ঈর্ষার ভাজন সেও হ’ল কি রে?