শৈশবসঙ্গীত
খুলে দাও দ্বার আজিকার মত
এসেছি অতিথি আমি।”
অতি ধীরে ধীরে খুলিল দুয়ার,
পথিক দেখিল চেয়ে—
করুণার যেন প্রতিমার মত
একটি রূপসী মেয়ে।
এলোথেলো চুলে বনফুলমালা,
দেহে এলোথেলো বাস—
নয়নে মমতা, অধরে মাখানো
কোমল সরল হাস।
বালিকার পিতা রয়েছে বসিয়া
কুশের আসন-’পরি—
সম্ভ্রমে আসন দিলেন পাতিয়া
পথিকে যতন করি।
দিবসের পর যেতেছে দিবস,
যেতেছে বরষ মাস—
আজিও কেন সে কাননকুটীরে
পথিক করিছে বাস?
কি কর, যুবক, ছাড় এ কুটীর—
সময় যেতেছে চলি,
যে কাজের তরে ছেড়েছ আলয়,
সে কাজ যেও না ভুলি!
দিবসের পর যেতেছে দিবস,
যেতেছে বরষ মাস,
যুবার হৃদয়ে পড়িছে জড়ায়ে
ক্রমেই প্রণয়পাশ!
শোণিত লিখিত শপথ-আখর
মন হতে গেল মুছি।
ছুরিকা হইতে রকতের দাগ
কেন রে গেল না ঘুচি!