প্রতিশোধ
গাথা
গভীর রজনী
নীরব ধরণী,
মুমূর্ষু পিতার কাছে
বিজন আলয়ে আঁধার হৃদয়ে
বালক দাঁড়ায়ে আছে।
বীরের হৃদয়ে ছুরিকা বিঁধানো,
শোণিত বহিয়ে যায়,
বীরের বিবর্ণ মুখের মাঝারে
রোষের অনল ভায়!
পড়েছে দীপের অফুট আলোক
আঁধার মুখের ‘পরে,
সে মুখের পানে চাহিয়া বালক
দাঁড়ায়ে ভাবনা-ভরে।
দেখিছে পিতার অসাড় অধরে
যেন অভিশাপলিখা,
স্ফূরিছে আঁধার নয়ন হইতে
রোষের অনলশিখা—
ঘুম হ’তে যেন চমকি উঠিল
সহসা নীরব ঘর,
মুমূর্ষু কহিলা বালকে চাহিয়া,
সুধীর গভীর স্বর—
“শোনো বৎস, শোনো, অধিক কি কব,
আসিছে মরণবেলা—
এই শোণিতের প্রতিশোধ নিতে
না করিবে অবহেলা।”
এতেক বলিয়া টানি উপাড়িলা
ছুরিকা হৃদয় হতে,