অতীত ও ভবিষ্যৎ
কেমন গো আমাদের ছোট সে কুটীরখানি—
সমুখে নদীটি যায় চলি,
মাথার উপরে তার বট অশথের ছায়া,
সামনে বকুল গাছগুলি।
সারাদিন হু হু করি বহিছে নদীর বায়ু,
ঝর ঝর দুলে গাছপালা,
ভাঙ্গাচোরা বেড়াগুলি, উঠেছে লতিকা তায়
ফুল ফুটে করিয়াছে আলা।
ও দিকে পড়িয়া মাঠ, দূরে দু-চারিটি গাভী
চিবায় নবীন তৃণদল—
কেহবা গাছের ছায়ে কেহবা খালের ধারে
পান করে সুশীতল জল।
জান ত কল্পনাবালা, কত সুখে ছেলেবেলা
সেইখানে করেছি যাপন—
সেদিন পড়িলে মনে প্রাণ যেন কেঁদে ওঠে,
হুহু ক’রে ওঠে যেন মন।
নিশীথে নদী-’পরে ঘুমিয়েছে ছায়া-চাঁদ,
সাড়াশব্দ নাই চারি পাশে,
একটি দুরন্ত ঢেউ জাগে নি নদীর কোলে,
পাতাটিও নড়ে নি বাতাসে,
তখন যেমন ধীরে দূর হ’তে দূর প্রান্তে
নাবিকের বাঁশরীর গান—
ধরি ধরি করি সুর ধরিতে না পারে মন,
উদাসিয়া ওঠে যেন প্রাণ!
কি যেন হারানো ধন কোথাও না পাই খুঁজে,
কি কথা গিয়াছি যেন ভুলে,
বিস্মৃতি স্বপনবেশে পরাণের কাছে এসে
আধস্মৃতি জাগাইয়া তুলে।
তেমনি হে কলপনা, তুমি ও বীণায় যবে